মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১১

ঈর্ষা এবং অহং


ঈর্ষা এবং অহং
ঈর্ষা হল এমন এক বৃক্ষের ফল যে আছে একটি হ্রদের পাড়ে। এবং যে হ্রদের জল ক্রমশ শুকিয়ে যাচ্ছে। সকলের কম বেশি ঈর্ষা হয়। সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু এমন লোক আছে, যারা সেই হ্রদটির ক্রমহ্রাসমান জলের কথা জানেন না। অথবা ভাবেন হয়তো সেটা কমছে, কিন্তু শেষ হয়ে যাবে না। তাদের জন্য করুণা শব্দটির জন্ম হয়েছিল বাংলা ভাষায়। তেমনি অহং। সেটিও এমন এক লতা যা ফুল দেবে বলে জন্মায় কিন্তু কথা রাখে না। কবি, ধর্মগুরু, চিন্তাবিদেরা এ দুটি বিষয় নিয়ে বিস্তর লিখেছেন। কিন্তু এদের সাম্রাজ্যে চিড় ধরাতে পারেননি।
আজকাল আমরা ঈরষান্বিত লোক দেখি এমন যিনি হয়তো খুব উঁচু মানের কবি কিংবা লেখক। তিনি ঈর্ষাবশত অন্যের লেখাকে কখনো মন খুলে ভালো বলতে পারেন না। বরং ছিদ্রান্বেষণ করতে থাকেন। কবি হিসাবে তার উচ্চতা নিয়ে তিনি সচেতন। সেটাকে ব্যাবহার করে তিনি অনেক পাঠককে বিভ্রান্ত করতে পারেন। আর এই বিভ্রান্তির কারণে তার মধ্যে একপ্রকার অহংকে পরিতৃপ্তি পায়। তাই নিয়ে তিনি সুখে থাকেন। এবং একদা তার কবিত্বশক্তি অপরের দোষবিচারে ব্যয়িত হয়ে যায়। তিনি তখন অতীতচারিতা এবং কতিপয় শিষ্য নিয়ে বেঁচে থাকেন। তখন তিনি টের পান পূর্বোক্ত হ্রদের জল শুকিয়ে গেছে আর সেই লতাটি কথা রাখেনি।
যাবতীয় আলো হতে দূরে কিছু লোক সর্বদা থাকেন, যারা গান করেন কিন্তু অনুষ্ঠানে গান না। কবিতা লেখেন কিন্তু কবিতা ছাপেন না। এরাই আসলে মূল কাজগুলো করেন। তাদের ভূমিকাটুকো আমরা ধরতে পারি না। এই অপারগতা সময়েরই কারসাজি। এই কারসাজি যারা ধরতে পারেন। তারা একা হয়ে যান। তাদের জন্য থাকে দুষ্প্রাপ্য বিস্মৃতি। একদা দাপিয়ে বেড়ানো 'প্রতিভা' যদি বিস্মৃত হয়ে যান কালের শেষে, তবে সেটা করুণ। কিন্তু যিনি একা বেঁচে থাকেন সময়ের অনন্ত গহ্বরে তিনি এমন এক পরশ পাথর রেখে যান, যা ভাবীকাল হাতে পেয়ে গৌরব করে। যেমন সেই আধপাগল লোকটি। ভিনসেন্ট ভ্যান গঘ যার নাম

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন