বৃহস্পতিবার, ৫ মার্চ, ২০১৫

পাখিয়াল

এই আমি, ওরা আমার অবশিষ্ট ভূত।
আকাশে রচিত শূন্যস্থান আজ যুদ্ধক্ষেত্র,
ক্লান্তির নামে সোনা ঝরে পড়ছে, উস্‌কে দিচ্ছে
স্মৃতির সঙ্গে স্মৃতির বিবাদ।
হাওয়াই চটি নিয়ে দীর্ঘ হচ্ছে দূরত্বের ছায়া,
তুমি আমার অগ্নি, যুদ্ধক্ষেত্রে এসে ভিখারি সেজেছো,
দ্যাখো আমার অবশিষ্ট ভূত ছুঁড়ে দিচ্ছে স্মৃতি,
পিতা কিংবা অঙ্গবিশেষ।
পিতার আগুনের বশে আমার মা ধোঁয়া;
কী কালি, কী কালি তোলে হাঁড়ির পেট ঘষ্টে,
পরিচ্ছন্ন হাঁড়ি হেসে উঠলে পুনর্বার আসে প্রসববেদনা,
চারিধার কঁকিয়ে ওঠে, দেয়াল থেকে ঝুপঝাপ ঝরে পড়ে ঘুঁটে।
পড়েই সোনা হয়ে চকচক করে, সোনার টুকরো ছেলে।
যৌবন আসার অনেক আগেই আসে তার পাখি,
শরীর কেবল পাখি পাখি করে।
আজ যুদ্ধক্ষেত্রে পাখি, তুমি কোন দানার কাজে আসবে?
যার নামে যুদ্ধ তার নাম নিলে পাপ,
যার কাছে পরাজয়, তার কোনও শেকল নেই,
শুধু তার কাছে নতজানু বাকি সব ভূত,
আমি অগ্নি, অগ্নি আমি, পুনশ্চ জঠরে যাব বলে
নারী দেখলে জ্বলে জ্বলে উঠি।
এই দহনের ফলে একবার পাখি, একবার পাখিয়াল
 হয়ে ভাবি,
কী নেব তুলে, উড়ন্ত ডানা, নাকি খাঁচার মালিকানা 

(কাব্যগ্রন্থঃ অবন্দিত অংশ, ১৯৯৬,প্রকাশকঃ বাংলা কবিতা, প্রচ্ছদ সুভদ্রা সিংহ)

1 টি মন্তব্য:

  1. অনবদ্য। এমনই ব্লগে লিখতে থাকুন, অশোক। সঙ্গে নিঃসঙ্গ থাকবেন কেন ! সবাই যেখানে লেখেন, সেই ঈশানের ব্লগেও তুলে রাখুন।

    উত্তরমুছুন