বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১১

নদী ও আকাশ


নদী ও আকাশ


নদীর কাছে যাওয়া একটা সু-অভ্যাস। আকাশের দিকে তাকানোও। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে এই অভ্যাস কমে যেতে থাকে। সেটা নানা কারণে হয়ে থাকে। এই কারণগুলোকে কোনও শ্রেণিতে বিন্যাস করা যায় না। প্রকৃত অর্থে এদের কারণও বলা যায় না। নদী বয়ে চলে যায়। এই তো, একদম বাড়ির কাছে, অথবা একটু দূর দিয়ে। আকশের ব্যক্তিত্বও এই একইরকমের। তার দিকে না তাকালে তার কিছু যায় আসে না। একা নদীর পাড়ে গিয়ে, অথবা সদ্য জেগে ওঠা বালির চরায় গিয়ে আকাশের দিকে তাকালে মাথা ব্যথা কমে। মাথা ব্যথা একটা সংকেত। সে আসলে একটা ফল। তার কারণ অন্যতর ব্যথার মধ্যে লুকিয়ে থাকে। সেটা আকাশ আর নদী জানে। তারা তার নিদানও জানে। তাই নদীর বুকে চরা জাগে। চরা শব্দটি সুন্দর। তার সঙ্গে চরাচরের যোগাযোগ থাকতে পারে। চর যদি সদর্থক হয়, তবে অচর কী? এরা দুজন মিলেই তো চরাচর? এইসব অচর বেড়ে গেলে আমরা আর নদী দেখি না, আকাশ দেখি না। জায়গা মাপি, বাড়ি বানাই। সিমেন্টের আঠার টানে ঘুমোতে যাই, ইটের লালে জেগে উঠি। বাড়ির পেছনে বয়ে যায় গোমতী। নদী। সূর্যাস্তে তার কাছে গিয়ে দেখি, অস্তরাগ আসলে নদীর মুচকি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন