বুধবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১১

হেমন্তকাল


হেমন্তকাল
 
যার দিকে হাত বাড়ায় আলো, তার ছায়া দীর্ঘ হয়ে যায়। ছায়ার নিচে চাপা পড়ে যায় ঘাসেদের গান। ঘাসেদের সারা রাতের গান-চালাচালি সকালে শিশির হয়ে যায়। আলোকণা, উচ্ছিষ্ট আলোকণা বাঁধা পড়ে সেইসব শিশিরের বুকে। আলো হাত বাড়ালে শিশিরের প্রাণ মাটিতে গড়ায়।

   এরকম একটা বিশ্বাস নিয়ে একজন মানুষ গানের পোরট্রেট আঁকবে বলে রঙের খোঁজে বেরিয়ে যায়। সেই থেকে বর্ণান্ধ তার সংসার । সেই বর্ণান্ধ পরিবারটি আমাদের দিনপঞ্জি বাঁধাই করে। আশার গঁদ আর অবিবাহের শক্ত মলাট দিয়ে বাঁধা আমাদের দিনপঞ্জি হেমন্তে সাদা হয়ে থাকে। যেদিন দুঃস্বপ্ন দেখি সেই দিনটি যে গোধূলিবিহীন ছিল, তা টের পাওয়া যায় রাতে।

   হারিয়ে যাওয়া গোধূলির জন্য প্রয়োজন একপাল গাভী। একটি রাখাল। এবং ধুলো ভরা পথ একটি। যে পথ দিয়ে তার বাঁশি ফিরে আসবে। রাখাল ফিরবে সুরাক্রান্ত নারীদের জলঘাট দিয়ে। সেখানে এসে আলোর সাথে তার শেষবারের মত দেখা হয়।


   আলো হাত বাড়ালে ছায়া দীর্ঘ হয়ে যায়। তার নিচে চাপা পড়ে যায় আমাদের গান গাওয়ার প্রতিভা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন