কবিতা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
কবিতা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শুক্রবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৫

কৃষ্ণপৌষ

এক.
স্বরচিত সংগীতের উপর শুয়ে আছেন কৃষ্ণসুষমা,
শিয়র হতে রচিত নিসর্গ
পদপ্রান্তে এসে মিলিয়ে যাচ্ছে।

আমি তাঁর পুত্র, পরিত্যক্ত নিঃশ্বাস,
দূরে দাঁড়িয়ে একা একা দেখছি
দূরাগত শিবারবে কেঁপে উঠছে তিলক্ষেত,
মাটির তৈজস নিয়ে ছুটে আসছে
কয়েকজন দেহাতীত মানুষ।

আজ এই শুক্লা দশমীতে

বীতস্রোতা নদীটিকে কানে কানে বলি
এ শরীর কিছু নয়, ফেলে যাওয়া পলি

ফোটামাটিঃ প্রথম সংখ্যা, ২০১৫

শনিবার, ৪ আগস্ট, ২০১২

একটি কবিতা

নীরবতা



তুমি এক ভিনদেশি খরগোশ।

বর্ষার স্নায়ুদোষ দেখতে এসেছ।
এনেছ জীবন্ত তুলতুল। এখানে আশু খরাপ্রদেশে, শ্রাবণপূর্ণিমায়...
চাঁদ কি? না তো, এ যে ব্রহ্মবেশ্যার ক্লিটোরিস হে
লোভ করে
তোমার গর্হিত তুলতুলে।


এদিকে কার্তুজ শেষ করে বসে আছে
মেজাজি ফণীমনসা।
ঘাসের আদলে যাদের ভিজে থাকতে
দেখছ
তারা আসলে অনন্ত জোছনার মেদ
অনেক কাল, সহ্য করেছি সখা
এবার শিখে ফেলেছি ধনুর্বিদ্যা
তাক করে আছি, তোমার চঞ্চলতা
ভাল লাগছে।
চুপ করে আছি ...

সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১১

সেইসব কবিতা/৪

পরচুলা


এলে তো এমন সাজে, যেন আমার শরীরে রোগ নেই কোনও,
জান না এ ঘর জীবানুপ্রধান, আঁধারের মহাগহ্বর।
এই রাত্রিজাগা, শৃঙ্গবেদনা, হৃদয়বাহিত প্রাচীন রেবিস,
জলহীন গ্রামে গ্রামে মনে মনে ঘোরা।
ফেরাপথে কোনোমতে ফিরি, তাপের সন্ন্যাসে
কালো মেয়েটির যে ক্লাস নাইন ভাসে,
উদাস জানালা আমাকে দেখিয়ে দেয় যদি?
তুমি তো বাতাসে জন্মে বাতাসে মিলিয়ে যাও
ইচ্ছেমতন বেশে, দেখ না মানুষের কলতলা 
চেটে দেয় একাকী কুকুর।


আমি যাব কোথায়


পথ নেই পথে, কার যেন পরচুলা পড়ে আছে শুধু

সোমবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১১

সেইসব কবিতা

উপসর্গ


শুনেছি জ্যোৎস্নারাতে
একটি গোপন নৌকো ঘাটে ঘাটে ঘোরে


বহুকাল এই গ্রামে থেকে আমি দেখিনি
শুধু শুধু নদীর নামে রটিয়েছি অপবাদ


আজ মনে হয় সব ঘাটই রাতে রাতে
মিশে যায় জলে
নদী আর নৌকোতে চলে অভিমান
অবন্দিত অংশ
১৯৯৬