ভারতীয় জাতীয়তাবাদ
নির্মিত হবার বহু আগেই একটি জাতি পূর্ণবিকশিত হয়েছিল। কাশ্মীরি।
একটি আত্মশ্লাঘাহীন জাতীয়তাবাদ সেখানে উপস্থিত ছিল। সেটি রাজনৈতিকভাবে বিকশিত
হয়নি। কারণ কাশ্মিরী মানুষ নির্বিরোধ, শান্তিপ্রিয়, সরল এবং উদ্যোগহীন। যুগ যুগ
ধরে উচ্চাকাঙ্ক্ষী আক্রমণকারী, পেশাদার লুঠেরাদের পথে তারা পড়েছে, কোনোরূপ
প্রতিরোধ ছাড়া তাদের সহ্যও করেছে। কখনো বা আপন করে নিয়েছে। অথচ, কাশ্মীরদেশেও একদা দোর্দণ্ডপ্রতাপ শাসকেরা
ছিলেন, যারা এমনকি বাংলা পর্যন্ত সামরিক অভিযান চালাতে দ্বিধা করেননি। কী শিল্পে,
কী সংগীতে, ধর্মচেতনায়, ভেষজবিদ্যায়, চিন্তার জগতে কাশ্মীর একদা জগদ্বিখ্যাত ছিল।
কিন্তু শাসকের সেই ঔৎকর্ষ তার জনগণ অব্দি স্বাভাবিক কারণেই প্রসারিত হয়নি।
ভারতীয় জাতীয়তাবাদ
একটি নির্মিত আবেগের নাম। সেই জাতীয়তাবাদের ভিত্তি ভ্রান্ত, সে জাতীয়তাবাদের
লক্ষ্য এক মাতা, এক বিমূর্ত দেশমাতৃকা, ভারতমাতা। বঙ্কিমরচিত একটি সংস্কৃত কবিতা
তার উৎসাহ। স্বাধীনতার স্পৃহাকে ব্যবহার করে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র,
ঠাকুর,যাদব, অস্পৃশ্য, হিন্দু-মুসলমান সকলকে একটি বস্তার মধ্যে ঢুকিয়ে দেবার
রাজনৈতিক যে উপকরণ, সেটিই ভারতীয় জাতীয়তাবাদ। সেখানে বাঙালি,গুজরাতি, মারাঠি,
দ্রাবিড়, রাজপুত সকলকেই নেওয়া হল। পুরে দেওয়া হল। পুরে দেওয়া হল ছত্তিশগড়ের
বনবাসীদের, পুরে দেওয়া হল তেলেঙ্গানার মৎস্যশিকারীদের। পুরে দেওয়া হল দেশীয় রাজা
আর জমিদারদের, পুরে দেওয়া হল ছোট ছোট স্বাজাত্ব এবং ক্ষুদ্র রাষ্ট্রবাদকেও। তার ফল,
আমরা আজ দেখতে পাই। তখন, সকলে স্বাধীনতাপ্রাপ্তির স্বপ্নে সেই ব্যাগে এঁটে
গিয়েছিল। নিজেদের আঁটিয়ে নিয়েছিল। কিন্তু, হিন্দু এবং মুসলমানেরা স্বাধীনতার উপজাত
ক্ষমতার লোভে বেরিয়ে এল। এসে, বস্তাটাকেই ছিঁড়ে দু টুকরো করল।হিন্দু এবং মুসলমানের
জন্য তারা দুটি রাষ্ট্র বানালো। কাশ্মীরিদের
দুর্ভাগ্য, এর কোনোটিতেই অংশ নিতে পারল না
তারা। ফলে আক্রান্ত হল। ঘটনাচক্রে একটি
বৃহৎ রাষ্ট্রের বিকৃত এক অঙ্গরাজ্যে পর্যবসিত হল। কাশ্মীরের আরও বড় দুর্ভাগ্য এই
যে, সেই বস্তাছেঁড়া হিন্দু-মুসলমান, যা-কিনা ইতোমধ্যে ভারত-পাক জাতীয়তাবাদ হিসেবে রাষ্ট্রীয়
বদান্যতায় প্রতিষ্ঠা পেয়ে গিয়েছে, তার কোনোটাতেই তারা অংশ নিতে পারেনি। স্বাধীন
থাকতে চেয়েছিল, সেটা যত না কাশ্মীরের জনগণের চাহিদা, তার থেকে বেশি হরি সিংহের
সিংহাসন ধরে রাখার চেষ্টা যাতে তিনি শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছিলেন। শেখ আবদুল্লা
এবং জওহরলালের সখ্য যে বিষবৃক্ষের বীজ কাশ্মীরে রোপন করেছিল, তারই বিষময় ফল আজও
কাশ্মীরের জনগণকে ভোগ করে যেতে হচ্ছে। সে যন্ত্রণা হতে বেরিয়ে যাবার ইচ্ছা কাশ্মীরি মানুষ হাজার বার পোষণ করতে পারেন।
ভারত এবং পাকিস্তান
উভয়ে তাদের অহংদ্বন্দ্ব থেকে সরে দাঁড়ালে, কাশ্মীরি মানুষের সুবিধা হয়। তাদের
আত্মনিয়ন্ত্রণের যোগ্যতা আছে। তাদের স্বাধীন সিদ্ধান্ত নেবার অধিকার আছে। তারা যদি
স্বাধীনতা চান, সেটিও তারা চাইতে পারেন। ভারতে বসে, ভারতের সেনাদের প্রতি যুদ্ধ
ঘোষণা করে অনেক জাতিগোষ্ঠী সেটা চেয়েছেন। পরে, সরকারের সঙ্গে বসেছেন, কথা বলেছেন
বলে আখের গুছিয়েছেন। এই সেদিন এনএসসিএন-এর সঙ্গে মোদীর অনুরূপ আলাপসালাপ হয়ে গেল,
চুক্তি হল। সেই চুক্তি হল ভারত সরকার এবং এনএসসিএন-এর মধ্যে, প্রায় দুটি রাষ্ট্রের
মধ্যে যেভাবে চুক্তি হয়, সে আঙ্গিকে।এনএসসিএন এর মত অন্য প্রদেশের সেইসব
স্বাধীনতাকামীদের কেউ কেউ এখন মূল রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে
উপস্থিত রয়েছেন। অসমে, মনিপুরে, ত্রিপুরায়, নাগাল্যান্ডে, পাঞ্জাবে কোথায় নেই
প্রাক্তন সব ‘দেশদ্রোহী’? তাদের মধ্যে কেউ কেউ তো জাতীয়তাবাদী দলগুলিতে গিয়েও
আশ্রয় পেয়েছেন, নির্বাচিত হয়েছেন। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। এদের তৎকালীন ‘স্বাধীনতা যুদ্ধ’ এবং কাশ্মীর আন্দোলনের মধ্যে পার্থক্য কী? পার্থক্য এই
যে, কাশ্মীর থেকে ‘পাকিস্তান
জিন্দাবাদ’ ধ্বনি শোনা
যায়। ভারতের প্রত্যক্ষ মদতে, পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীরা
তাদের মাতৃভূমি ছিনিয়ে নিয়েছেন। সুতরাং পাকিস্তানের একটি রাজনৈতিক প্রতিশোধস্পৃহা
কাশ্মীরের দিকে ধাবিত হবেই। তারা তাই কাশ্মীরে টাকা খরচ করে ভণ্ড স্বাধীনতার ধুয়া
তুলে প্রকৃত স্বাধীনতাকামীদের ম্লান করে দেয়। হিংসা ছড়ায়। ফলে আপাতত ভারতের
অঙ্গরাজ্য কাশ্মীর হতে পাকিস্তান জিন্দাবাদ শোনা গেলে তা গ্রহণযোগ্য থাকে না।
স্কটল্যাণ্ড সরে যেতে চেয়েছে ইংল্যান্ড থেকে । ভোট হয়েছে, মানুষ তার বিপক্ষে ভোট
দিয়েছে। মিটে গেল। কিউব্যাক কানাডা থেকে সরে যেতে চেয়েছে একদা। কিন্তু ফরাসিভাষী সে
প্রদেশের মানুষ আপন স্বায়ত্ত্বশাসনের পক্ষে ফ্রান্সের জয়গান করেনি। কাশ্মীর থেকে
পাকজিন্দাবাদের ধ্বনি ওঠে। সেই ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ ধ্বনি শোনা গেল বিশ্ববন্দিত বিদ্যাসত্র, জেএনইউ-র
ক্যাম্পাসে। তাই নিয়ে জেগে উঠেছে জাতীয়তাবাদের প্রতিযোগিতা। এমনকি কমিউনিস্টরা
পর্যন্ত নিজেদের তাত্ত্বিক অবস্থান ছেড়ে দিয়ে (স্মরণ করা যায়ঃ Corrupting
the Workers with Refined Nationalism V.I. Lenin, স্মরণ করা যায় চিনের KMT
ও CCPএর দ্বন্দ্ব, স্মরণ করা যায় আয়ারল্যান্ড ও
পোল্যান্ড নিয়ে মার্ক্সের চিঠিপত্র ও লেখাগুলি) নিজেদের
জাতীয়তাবাদী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। এবং সেটা কোন জাতীয়তাবাদ? একবারেই
কংগ্রেস-প্রযোজিত জাতীয়তাবাদ। সেসব জাতীয়তাবাদী কথা নিঃসৃত হচ্ছে প্রধান বামদলের
প্রধান নেতৃত্বের মুখ হতে। কাশ্মীর প্রশ্নে আজ যিনি বাকস্বাধীনতা কিংবা মুক্তিকামিতাকে
পরোক্ষে সমর্থন করছেন, এই সেদিন বেজিঙে তাঁর অবস্থান ছিল অন্য। আর নীচে,
সমর্থকদের পরিসরে, এই সেদিন যারা সোস্যাল সাইটগুলিতে মোহনদাস করমচান্দ গান্ধির
ছবিকে ফটোশপ করে তাঁর চারিত্রিক পতন প্রদর্শন করেছে, তারাই আজ তাঁকে মহাত্মা ঘোষণা
করে নাথুরামবাদীদের বিরুদ্ধে বলছে। এ এক অদ্ভুত সার্কাস শুরু হয়ে গেল।
ইস্যুনির্মাণের এই
রাজনীতি থেকে কি ভারতবাসীর মুক্তি নেই? দাঙ্গা বাধিয়ে গুজরাত ইলেকশন করতে হবে।
আখলাককে গোমাংস রাখার অভিযোগে হত্যা করে বিহার নির্বাচন করতে হবে। হত্যা করতে হবে
কালবুর্গিকেও। নন্দীগ্রামে গুলিচালনা করে
ও জঙ্গলে কিষেণ পুষে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন করতে হবে। এবং, হায়, একটি
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংসদ নির্বাচনের আগে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ বলতে হবে। কিংবা গুলি চালাচালি করতে হবে বহিরাগতদের
দিয়ে, কিংবা সুদীপ্ত গুপ্তকে জান দিতে হবে। এইভাবে, ইস্যুনির্মাণ করে করে ভারতের রাজনীতি
থেকে বিতর্কের পরিসরটাকে নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। রাজনৈতিক দল ভেবেচিন্তে ইস্যুর
ক্ষুধায় একটা ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়ে দেবে আর সারা দেশের বুদ্ধি সাধারণের মূল
সমস্যাগুলি ভুলে গিয়ে সেই ঘটনা নিয়ে বিতর্কে মেতে উঠবে। নির্বাচন শেষ, সেই বিতর্ক
শেষ। যেমন আমরা ভুলে গিয়েছি গুজরাত দাঙ্গা, আমরা ভুলে গিয়েছি আখলাক আসলে গোমাংস
রাখেইনি, আমরা কালবুর্গিকে ভুলে গিয়েছি, আমরা কিষেণ-রাজনীতি ভুলে গিয়েছি, তেমনি
আমরা ভুলে যাব কানহাইয়াকেও। এই কানহাইয়া কান্ড যখন ঘটছে তখন ওদিকে একজন বারো ক্লাস
পাস করা মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর দাপটে বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে বরখাস্ত করলেন
রাষ্ট্রপতি। ভারতে এ জাতীয় ঘটনা এই প্রথম। স্বায়ত্বশাসিত সর্বোচ্চ বিদ্যাসত্রে
সরকারের এ-হেন নাক গলানো যে কী বিপদ বয়ে আনতে পারে, সেটি আমাদের ভাবার অবসর নেই। কিংবা,ওদিকে
গিরিজনদের থেকে সাধারণ বিড়িপাতা সংগ্রহের অধিকার কেড়ে নিল ছত্তিশগড়ের সরকার। বনের
ওপর তাদের আর কোনও অধিকার থাকল না। তা
নিয়ে যাদের সোচ্চার হবার কথা, তারা কংগ্রেসের সঙ্গে একাসনে বসার সাধনায় নিমগ্ন।
কী এমন হয়েছিল?
কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী রাজনৈতিক দলের ছাত্রশাখা জেএনইউতে একটি সভা করতে চায়।
কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দেয় না। হিন্দু জাতীয়তাবাদী ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে তাদের গোল বাধে।
সেটি নিরসন করতে এগিয়ে যায় বামপন্থী কানহাইয়া, যায় নির্বাচিত পদাধিকারী হিসেবেই।
সেখানে সে কিছু বলেও। এদিকে কাশ্মীরবাদীরা ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ ধ্বনি তোলে, ভারত বিরোধী শ্লোগান দেয়। তারা আসলে
কানহাইয়াকে শিকারের টোপ হিসেবে ব্যবহার করে ফেলতে সক্ষম হয়ে যায়। এদিকে, কানহাইয়া তাদের তৎক্ষণাৎ বিরোধিতা করে না।
চিৎকার করে বলে না যে এসব আমরা বলছি না, যারা বলছে তাদের সঙ্গেও আমরা নেই। ঘটনাকে
সে বহে যেতে দেয়। একটি সরকারপন্থী মিডিয়া পেয়ে যায় রসদ, তারা আসন্ন ছাত্রসংসদ
নির্বাচন সম্পর্কে অবহিত। সুতরাং তারা লেগে গেল ম্যানুফেকচারড প্রচারে। কানহাইয়া
হয়ে যায় দেশদ্রোহী। এখন, সঙ্গে সঙ্গে সেইসব ভারত বিরোধী শ্লোগানগুলিকে নস্যাৎ না
করে, বামেরা বাকস্বাধীনতা, জাতীয়তাবাদ ইত্যাকার অপ্রাসঙ্গিক কথা বলে ঘটনাকে ঘোলা
করে দিল। আমাদের সভা ছিল না, আমাদের ছেলেরা সেখানে পদাধিকারীর দায়িত্বপালনে
ঘটনাচক্রে উপস্থিত হয়েছে, তাদের উপস্থিতিতে ওসব শ্লোগান দেওয়া হয়েছে, তারা সেসব
বন্ধ করতে পারেনি। তাদের উপস্থিতি, যে কারণেই হয়ে থাক, সেটা ভুল হয়ে গিয়েছে।
আমাদের ছেলেরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ চেষ্টা নিজেরা করেছে, আইনের সাহায্য নেয়নি। ফলে
ব্যর্থ হয়েছে। আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। দেশের মানুষকে এ কথা বলে ফেললে কী ক্ষতি? যারা
দেশের মুখ্য পরিচালক (অন্তত খাতায়পত্রে) সেইসব জনগণের কাছে বিষয়টি তুলে দিলে কী
হত? হল না, ইস্যুটা তো চাই। নির্বাচন যে!
এখন, আমাদের মত যারা,
যারা নিজেদের কোনও একটি দলের পরিসরে গুঁজে রাখতে পারি না, আমাদের কী হবে? আমরা
যারা, কাশ্মীরের মানুষ কিংবা পৃথিবীর যেকোনও প্রান্তের মানুষ, যদি স্বাধীনতা চায়
তার বিরোধিতা করতে পারি না। কিন্তু সেই মুক্তিকামিতাকে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ দিয়ে কলুষিত করলে রাগ করি, আমাদের কী হবে? আমরা যারা
কোনওমতেই কমিউনিস্টদের মুখ থেকে ‘আমার কি কম
জাতীয়তাবাদী’ শুনলে আমূল
বিস্মিত হই, আমাদের কী হবে? আমরা যারা ভারতীয় জাতীয়তাবাদ বলে কিছু আছে বলেই মনে
করি না, আমাদের কী হবে? আমরা যারা ইলেকশনের আগে হত্যা, দাঙ্গা, পুলিশি সন্ত্রাস
করে রাজনৈতিক দলগুলির ইস্যুনির্মাণকে মেনে নিতে পারি না, আমাদের কী হবে? আমরা যারা
রাজনীতিকে উপায় নয়, বিষয় হিসেবে দেখি, আমাদের কী হবে? আমরা কিন্তু সংখ্যালঘু নই, ভারতবর্ষের
অধিকাংশ মানুষই রাজনৈতিক দলগুলির সদস্যপদের আওতার বাইরে। তারা সংঘবদ্ধভাবে একটি
বানানো কথাকে সমস্বরে বলার ম্যাকানিজমের বাইরে, তাদের কী হবে? রাজনৈতিক দলগুলির
মেধাহীন স্থানীয় লোকজন তো মানুষকে এই অবস্থানে দেখতেই অভ্যস্ত নয়। রাজনৈতিক
বিতর্কের সংস্কৃতিটাই তো নষ্ট হয়ে গেল। তারা হয় আমার নয় শত্রুর এই হিসাব ছাড়া আর
কিছু বোঝে না। রাজনৈতিক দলগুলি নির্বাচনে নির্বাচনে এইসব ইস্যুনির্মাণ করে করে
এদের স্নায়ুচাপকে এত বাড়িয়ে দেয় যে, রাজনৈতিক দলপরিসরের বাইরের মানুষের জন্য এরা
বিপজ্জনক হয়ে পড়ে। আমাদের মত প্রান্তিক ভারতের আধাশহরবাসীদের জন্য এরা ভয়ঙ্কর
বিপজ্জনক। এরাই খুন করে, করায় কিংবা অন্য নাগরিকের চরিত্রকে খুন করে। আমরা খুন হয়ে
যাই, আমাদের কী হবে? জেএনইউ-র নির্বাচন ফুরিয়ে গেলে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ হারিয়ে যাবে। তখন অসমে নতুন ঘটনা হবে, দাঙ্গাও ঘটিয়ে
দিতে পারে ওরা, পশ্চিমবঙ্গে হবে রক্তোৎসব, তখনও আমরা খুন হয়ে যাব। আমাদের কী হবে?
অসাধারন 😃
উত্তরমুছুনখুব প্রাসঙ্গিক সময়পোযোগী কথা
উত্তরমুছুনthanks Abhijit
মুছুনখুব প্রাসঙ্গিক সময়পোযোগী কথা
উত্তরমুছুনএই লেখাটির যেন অপেক্ষা ছিল অশোকদা।এতকিছু একসঙ্গে গুলিয়ে ছিল যে এই সময়ের ঘটনাপ্রবাহের যথাযথ দিগনির্দেশ কী হবে তাই ভেবে ওঠা যাচ্ছিল না।এমন শান্ত সংযমী পক্ষপাতহীন লেখার অপেক্ষা ছিল।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
উত্তরমুছুনকুর্নিশ...লেখাটি চিন্তা ও চেতনাকে কিছুটা উত্তাপ দিলো ,বাতাসে যখন বিষাক্ত মিথেন এর গন্ধ লেখাটি পড়ে কোথায় যেনো এক অকৃত্তিম হাওয়া... আপনার অবস্থান আপনি স্পষ্ট করলেন...আপনার লেখার প্রতি শ্রদ্ধা রইলো...
উত্তরমুছুনথ্যাংকস
মুছুনকুর্নিশ...লেখাটি চিন্তা ও চেতনাকে কিছুটা উত্তাপ দিলো ,বাতাসে যখন বিষাক্ত মিথেন এর গন্ধ লেখাটি পড়ে কোথায় যেনো এক অকৃত্তিম হাওয়া... আপনার অবস্থান আপনি স্পষ্ট করলেন...আপনার লেখার প্রতি শ্রদ্ধা রইলো...
উত্তরমুছুনভারতীয় জাতীয়তাবাদ একটি নির্মিত আবেগের নাম।...... খুব সত্যি একটা কথা বলেছো, অশোকদা ৷ কিন্তু ব্যাপার কি জানো, এই দেশে এখনও 124 A আছে ৷ সেখানে রাষ্ট্র, জাতি, দেশ কিংবা সরকার -- সবই যে ইক্যুইভ্যালেন্ট ৷ লেখাটি এতই ভাল লেগেছে, যে ভাল লেগেছে বলে উপলব্ধিটাকে খাটো করতে চাইছি না ৷ এক কথায় আমার সব বলা হয়ে গেলো ৷
উত্তরমুছুনঅনেক অনেক ধন্যবাদ ৷
কিন্তু তোমার 'প্রায় দুটি রাষ্ট্রের মধ্যে' কথাটি বুঝলাম না ৷ নেশন স্টেট থাকলে সাব-নেশন তো থাকবেই, তাই না? এবং নিজেদের সম্পূর্ণ সার্বভৌমত্বের যুক্তি নিয়েই ৷
সেই কথা বলা যেত। কিন্তু এই পোস্ট তার ক্ষেত্র নয় বলে মনে হয়েছিল আমার।
মুছুনখুব প্রাসঙ্গিক সময়পোযোগী কথা
উত্তরমুছুনএ বাবা! এ করেছেন! কী! কী সাংঘাতিক সাহসী রচনা!
উত্তরমুছুনআমি পরবাসি। এই কিছুদিন আগে কলকাতা থেকে ফিরেছি। দেশ ছেড়েছি প্রায় ৪০ বছর। তবু দেশের প্রতি ভালবাসা কোন অংশেই কম নয়। বাংলা কাগজ
উত্তরমুছুনপড়ে আমার দিন শুরু হয়। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেখে আমার মন খারাপ হয়।
আপনার লেখাটি পড়ে মুগ্ধ হলাম। আমি পেশায় এরোস্পেস ইনঞ্জিনীয়ার। বয়েস ৭২।
খুব সুন্দর করে কঠিন বাস্তব কে তুলে ধরেছেন।
ভাল লাগল। খুব ভাল লাগল। এইভাবেই কলম চাবুকের মত চলতে থাকুক।
প্রফুল্ল রায়।
মেলবোর্ন।
p.ray@optusnet.com.au
ধন্যবাদ জানাই। স্যার। আমি প্রাণিত।
মুছুনআমি পরবাসি। এই কিছুদিন আগে কলকাতা থেকে ফিরেছি। দেশ ছেড়েছি প্রায় ৪০ বছর। তবু দেশের প্রতি ভালবাসা কোন অংশেই কম নয়। বাংলা কাগজ
উত্তরমুছুনপড়ে আমার দিন শুরু হয়। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেখে আমার মন খারাপ হয়।
আপনার লেখাটি পড়ে মুগ্ধ হলাম। আমি পেশায় এরোস্পেস ইনঞ্জিনীয়ার। বয়েস ৭২।
খুব সুন্দর করে কঠিন বাস্তব কে তুলে ধরেছেন।
ভাল লাগল। খুব ভাল লাগল। এইভাবেই কলম চাবুকের মত চলতে থাকুক।
প্রফুল্ল রায়।
মেলবোর্ন।
p.ray@optusnet.com.au
amara nijer paper bojha niye sakhat solile dubbo, je bhave lekhak dubechhey!
উত্তরমুছুনডুবে গেলাম, না?
মুছুনএতগুলি সত্যি কথা এত গুছিয়ে লিখেছেন, সত্যি দারুন। মন ভরে গেল।
মুছুনএতগুলি সত্যি কথা এত গুছিয়ে লিখেছেন, সত্যি দারুন। মন ভরে গেল।
মুছুনবেশ উৎসাহিত বোধ করছি
মুছুনসত্যি কথাকে সহজ করে লেখা খুব কঠিন। আপনি সে কঠিন কাজটা করলেন... হ্যা,আমাদের কি হবে,
উত্তরমুছুনএ আমাদের সবার মনের কথা..
সত্যি কথাকে সহজ করে লেখা খুব কঠিন। আপনি সে কঠিন কাজটা করলেন... হ্যা,আমাদের কি হবে,
উত্তরমুছুনএ আমাদের সবার মনের কথা..
ধন্যবাদ। পাঠ করলেন। জানালেন, একা নই আমি। ভালো লাগছে।
মুছুনকাশ্মীরের স্বাধীনতার দাবী বা অন্যান্য ইস্যু যা তুমি উল্লেখ করেছো, সে সবই ম্যানুফ্যাকচার্ড। অরুন্ধতী রায়ের মতো কিছু ধান্দাবাজ লোক এগুলো সমর্থন করতে পারে, অন্যান্য ভারতীয়রা, বোধ হয়, কখনোই সমর্থন করবে না।
উত্তরমুছুনসময়োপযোগী রচনা।
The King Casino Online ᐈ Get 50% up to €/$100 + 50 Free Spins
উত্তরমুছুনGet 50% up to €/$100 + 50 Free Spins · Visit septcasino the official 도레미시디 출장샵 site deccasino · Log in to your Casino Account · If you do https://jancasino.com/review/merit-casino/ not agree to the terms of casino-roll.com the terms of the agreement,